রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
‘মেলাঘর’ এক ঘোষণায় জানায়, বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গ্রাহকেরা যেন ঘরে বসেই পেতে পারেন তার জন্য ‘মেলাঘর’ বাজার আপনার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার শিরোনামে নতুন একটি ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছে তারা।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘মেলাঘর’ শপের কার্যক্রম। তবে এই শপে পাওয়া যাবে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ মাছ, মাংসের মতো কাঁচা বাজারের পণ্য। গ্রাহকেরা তাদের পণ্য অর্ডার করার পর সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে ক্ষেত্র বিশেষে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের বাড়িতেই সরবরাহ পাবেন সেসব পণ্যের।
‘মেলাঘর’ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের প্ল্যাটফর্মে কয়েক লাখের ওপরে গ্রাহক এবং প্রায় কয়েক হাজার বিক্রেতা বা সেলার আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেলার মুদি আইটেম বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন। আবার এধরনের পণ্য উৎপাদন এবং খুচরা বাজারে সরবরাহ করে এমন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও আছে।
করোনার এই সংকটকালীন মুহুর্তে আমাদের বিশাল এই রিসোর্সকে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগাতে চাই। বিভিন্ন মহল্লায় বা এলাকায় যারা এধরণের পণ্যের দোকান পরিচালনা করেন তারা মেলাঘর শপে যুক্ত হতে পারেন। যেসব গ্রাহক আমাদের প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হননি তারাও “মেলাঘর” এর সাথে যুক্ত হয়ে পণ্য অনলাইনে অর্ডার করে ঘরে বসে বুঝে পাওয়ার এই সেবা নিতে পারেন।
‘মেলাঘর’ কর্তৃপক্ষ আরো জানান, আমরা চাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে সবাই ঘরে থাকুক। এই সময়ে আমাদের সরকার একা অনেক কিছুই করতে পারবে না। আমাদের ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে আমরা সেই জায়গায় অবদান রাখতে চাই। সকল স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই গ্রাহকদের বাসায় দ্রুততার সাথে আমরা পণ্য পৌঁছে দেব।
সম্প্রতি এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে সম্মানিত আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ দেশিয় আইসিটি খাতের বিশিষ্টজনেরা এই সময়ে প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আর্থিক লেনদেন নগদের তুলনায় ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন।
মেলাঘরের কার্যক্রম কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর হাসান তানু বলেন, গ্রাহক তার অবস্থান থেকে অনলাইনে অর্ডার করবে। সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে পণ্য ও ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করবেন। এক্ষেত্রে বাজার মূল্যের বিবেচনায় পণ্যের দাম “মেলাঘর” নির্ধারণ করে দেবে যা কোনভাবেই বাজার মূল্য থেকে বেশি হবে না।
আমরা মনে করি এই সময়ে আমাদের সবাইকে সবার সহায়তায় কাজ করতে হবে। একই সাথে আমাদের সবার উচিত সচেতন এবং সতর্ক হয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অবস্থান করা। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় বরং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ।
প্রথমে আগামী দুই থেকে তিন মানে মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার এমন ৫টি উপজেলায় মেলাঘর শপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।